Tuesday, May 13, 2014

শোন মা শ্রাবণী

শোন মা(!) শ্রাবণী কলি যুগ এল
একটু সমঝে চল,
যাস না সেখানে দাঁড়িয়ে যেথায়
দুষ্টু ছেলের দল। ক্যাম্পাসটা আম
গাছে ভরা,
সহজ তাইতো হাতে হাত ধরা;
ডুবে ডুবে আর খাস নারে তুই
পদ্মা নদীর জল।

সুমনের দোকানের আড্ডাটা আজ আর নেই


সুমনের দোকানের আড্ডাটা আজ আর
নেই
আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেল হাসি-
মাখা মুখগুলো সেই
আজ আর নেই।

উর্মি বগুড়ায়, শাম্মি ঢাকাতে,
নেই তাঁরা আজ কোন খবরে,
ডেসটিনি আইকন মনসুর আহমেদ
পিছলে গেছে আজ গোবরে।
বাবার কথায় হেসে নতুন বধুর বেশে
বিয়ের পিঁড়িতে বসে তমা হায়!
হিশামটা ভুগছে শুধু খাই খাই রোগে-
অরিনের অভিযোগ জমা হয়।

বোরহান আজ শুধু সবচেয়ে সুখে আছে
দেখেছি যে লাল- রঙ্গা গাড়ি তার;
পাঞ্জাবি, জোব্বায় আমাদের
পারভেজ
মুখে আছে আলিশান দাড়ি তার।
লেকচারে উদাসিন স্বচ্ছ সওগাত
খাতা ভরে শুধু ছবি আঁকতো;
আর কিংকিনি, শ্রাবণী, আইরিন,
নাদিয়া
ব্যাগ-ভরা প্রসাধনী রাখতো।

একটা বিড়িতে টান সঞ্জু, নাঈমের
সাথে ছিল ফাও খাওয়া বাবু ভাই;
কখনো আজিজ বিড়ি,
কখনো বা সোনালি
বেনসন ফুঁকানোর টাকা নাই।
হরতাল, অবরোধ, পিকেটিং, ভাংচুর-
একে একে পার হলো কত সাল;
কথা ছিল ১২ তে, ১৩ টাও করে শেষ
১৪ তে খেলা হল ফাইনাল।

খুকি খুকি চেহারার তোহফা,
তূর্ণা (আর)
সাথে আছে প্রিমারও নামটা;
উৎসব আয়োজনে জড়িয়ে রয়েছে যে
তৈমুর, রাসেলের ঘামটা।
এসের নাটকে বুক আরো উঁচিয়ে
আশিক অভিনয় করতো;
আর ফেমিনিস্ট হৃদিতা স্যারদের
কাছে গিয়ে
আমাদের দাবি তুলে ধরতো।

(অতিরিক্ত)
জুয়েল, টুম্পা, সুমি, হাসি খুশি শম্পা,
পিংকি, কেমি আর পাপিয়া
আরও কত প্রিয়-মুখ আজ শুধু মনে পড়ে-
আহা কেন বুক উঠে কাঁপিয়া!
সোহাগ, সাদিক আর মৌসুমি,
মাহফুজ-
নাম কেন বাদ যাবে জেরিনের?
সবুজের সাথে ছিল লিমনের কত ভাব,
মনে পড়ে শুধু কথা সেদিনের।

এই মুখগুলো নেই আজ,
দোকানটা তবু আছে,
চায়ের পেয়ালা আজও খালি নেই,
একই সে মঞ্চে চলে নবীনের জয়গান,
আমাদের তরে হাতে তালি নেই।
কত স্বপ্নের ফুল ফোটে ইডরুর বাগানে,
কতজন কত স্মৃতি রেখে যায়,
কতজন এলো গেল, কতজনই আসবে
শেষে শুধু দোকান/ ইডরুই থেকে যায়।

Thursday, May 8, 2014

একটি ঝড়ের সকাল

একটি ঝড়বিধ্বস্ত  সকাল বেলা
দৃশ্য -১ : 'মেনগেট ' থেকে তিনশো/ গজ পূর্বে, রাস্তার পাশে মরে পড়ে আছেন নাম না জানা বৃদ্ধ
দৃশ্য -২ : কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম সাহেবের বাড়ি সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ধসে গেছে।প্রতিবছর দেয়ালের কিছুটা উপরে ঝুলতে থাকা যেসব টসটসে জাম্বুরার দিকে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতাম, তাদের জ্ঞাতি ভাইদের অকালপ্রয়াণ ঘটেছে।
দৃশ্য -৩ :রাস্তায় রাস্তায়  অকাল মৃত্যুপ্রাপ্ত মেধাবী আমগুলো কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।(আমার জিহবায় জল, আমচাষীদের চোখে)
দৃশ্য -৪ : রুয়েটের সামনে গাছ ভেঙে বিদ্যুতের খুটি এবং তারের সাথে পেঁচিয়ে আছে।বিদ্যুত বিভাগের লোকজন ভাংগা গাছটাকে নামিয়ে আনার বিষয়ে গবেষণা করছে।
এছাড়া রাস্তায় হাজার সবুজ পাতা পড়ে আছে। রাত থেকে বিদ্যুত নাই।রাস্তা প্রায় অটোশূন্য।
কালবৈশাখী মোটেও রোমান্টিক নয়।