প্রতিদিন না নিয়ে গেলে অথবা দিতে দেরি হলে ছাত্রী আমাকে জিজ্ঞেস করে, "তুমি কি জিনিসটা আনতে ভুলে গেছ? "
আমিও ' জিনিসটা ' আনতে ভুলি না, দিতেও দেরি করি না।
প্রতিদিনের মত আজকেও নিয়ে যাচ্ছিলাম।ডান হাতেরটির দাম এক টাকা আর বামটির দাম দু টাকা।ওদের এলাকায় বিদ্যুত ছিল না।রাস্তাটা বেশ নিরিবিলি। হঠ্যাৎ ডান হাতেরটি পড়ে গেল। সাথে মোবাইল ছিল না। অন্ধকারে জিনিসটি খুঁজে পাচ্ছিলাম না।পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া ভদ্রলোককে একটু মোবাইলের আলো ফেলতে বললাম। তারপর শুরু হোল হারানো চকললেটের ম্যারাথন খোঁজ -দ্যা সার্চ। উনাকে "ঠিক আছে ভাই আর খোঁজা লাগবে না " যতই বলি, উনি যেন আরো নতুন উদ্যমে খোঁজা শুরু করেন। দুই, তিন মিনিট হয়ে গেল।তারপর হাল ছেড়ে দিয়ে বিদায় নিলাম।কিছুদুর যাওয়ার পর উনি আবার ডাক দিলেন, "আসেন ভাই আরেকটু খুঁজি।" এই বার আমার চোয়াল শক্ত হয়ে গেল। এক টাকার হোক, তবুও এই ভদ্রলোকের জন্য জিনিসটি আমার খুঁজে পেতেই হবে। তাকে খুঁজে পাওয়ার আনন্দ দিতে নতুন উদ্যমে খুঁজতে শুরু করলাম।দাঁড়ানো অবস্থা থেকে দুজনে বসে বসে খুঁজলাম।আতিপাতি করে খুঁজেও পেলাম না।সম্ভবত জিনিসটি ড্রেনে পড়ে গেছে।অবশেষে একরাশ হতাশা নিয়ে ভাইটির কাছ থেকে বিদায় নিলাম। অন্ধকারের জন্য তার মুখটিও দেখা হলো না।এরকম
মানুষ বেঁচে আছে বলে বাংলাদেশ এখনও এতটা কিউট।
পুনশ্চ : রুমে এসে ড্রেস চেঞ্জ করে জিন্সের প্যান্টটা ঝাড়া দিতেই এক টাকার চকলেটটি ছিটকে পড়ল।জিন্সের প্যান্টটি আমি পায়ের দিকে ভাঁজ করে পরে ছিলাম।হাত থেকে পড়ে চকলেটটি ভাঁজের ভিতর লুকিয়েছিল।