পৃথিবীর সব রহস্য মানবদেহের
তিনটি অংগ থেকে সৃষ্টি হয়।
প্রথম আর দ্বিতীয়টিকে অংগই বলা যায়,
তৃতীয়টি যে ঠিক কী
তা আমি নিজেই জানি না।
তৃতীয় অংগটির নানাবিধ সুক্ষ্ণ আলোড়নে
এই লেখাটি লিখতে পারছি ;
আর প্রথম দুটির হঠ্যাৎ হঠ্যাৎ আলোড়নে
প্রতি মুহূর্তে সৃষ্টি হয় নানান বোধ,
কখনো কখনো অক্ষমতা অথবা 'আহ! ' থেকে ও অনেক বড় তৃপ্তি।
মাঝে মাঝে যুদ্ধ বিরতির মত
এ অংগ দুটিতেও ঝড় বিরতি ঘটে।
এ সময়টাতে উভয় অংগে
জমা হয় তীব্র আক্রোশ -কণা ;
তৃতীয় অংগটি তখন কোমায় থাকে ;
আর প্রথম দুটির সুনামীর ঢেউ
প্রতিটি দেহকোষকে নিমজ্জিত করে।
নামাজের কাতারের মত এই পর্যায়ে এসে ধনী, গরিব, সুশীল, ডাকাত - সবাই সমান।
মাঝে মাঝে অবশ্য তৃতীয় অংগটি প্রথম দুটিকে বাগে আনতে চায়,
তবে হাস্যকরভাবে নিজেই গৃহপালিত হয়ে পড়ে।
তৃতীয় অংগটির প্রতিনিধি হয়ে লিখছি আমি,
কিংবা 'আমি 'ই তৃতীয় অংগটি।
প্রথম দুটিকে অবশ্যই থামাতে হবে ;
নইলে ৭ নং বিপদ সংকেত।
কিন্তু কিভাবে থামাবো?
মানুষ এ প্রশ্নের উত্তর জানলে
ট্রয় নগরী ধ্বংস হতো না।