Friday, November 13, 2020

অগণতান্ত্রিক ভালোবাসা

না করতে না পারার ব্যর্থতায়
সর্বদলীয় ভালোবাসা নয়;
কঠোর অবস্থান দেখাতে গিয়ে
নির্দলীয় নিরপেক্ষতাও নয়;
তুমি একদলীয়, একপেশে হ্ও,
ভালোবাস শুধুই আমারে।

Friday, November 6, 2020

ঘুরন্টি

পদ্মার তীরে
সবুজের ভিড়ে
প্রকৃতির নীড়ে
আসি ফিরে ফিরে।

দলবেঁধে যাই
আনমনে গাই
খুব মজা পাই
আরও যেতে চাই।

এই আছি বেশ
ঘুরি সারা দেশ
হয়ে থাকি ফ্রেশ
ক্লান্তিটা শেষ।

তুমি সাথে যাবে?
ঘুরবে, খাবে
জলে নেমে নাবে
খুব মজা পাবে।

সবুজের বুকে

শহরের কোলাহলে প্রাণ মরে কেঁদে;
প্রকৃতির মাঝে তাই যাই দলবেঁধে।
প্রমত্তা পদ্মার বুকে জাগে চর।
সবুজের মাঝে সেথা ছোট ছোট ঘর।
এখানে সেখানে দেখি নীল জলাশয়।
রোদে মাছ ঝলকায়, চলে নির্ভয়।
শীত এলে নেমে যায় বেড়ে উঠা জল
ঘাস খেতে মেতে উঠে গবাদির দল।
সবুজ খেয়ে বাঁচে শত শত প্রাণ।
তবুও টিকে থাকে সবুজের ঘ্রাণ।
এই তো আমার দেশ, এ আমার ভূমি।
এমন প্রকৃতি রেখে কোথা যাও তুমি?

Monday, November 2, 2020

কবির রূপ

লিখি আমি প্রেমের কবিতা-
তাই ভাব আমায় প্রেমিক।
যদি লিখি শ্রমের কবিতা,
ভাববে কি আমায় শ্রমিক?
এ যুগের কবি আমি ভাই,
আমি মানব মনের প্রতিনিধি। 
আমার লেখায় ফুটে উঠে
তোমাদের সব গতিবিধি। 

যে নারীর দেহ সৌরভে 
পুরুষের মনে জাগে কাম,
প্রবল নির্মোহে আমি
অমর করি তার নাম।

যে মেয়ের একরাশ চুলে
সমীরণ সরব থাকে,
লিখি যখন তাহারই কথা
প্রণয়িনী ভাবি যে তাকে।

যে শ্রমিক ঘামের দামে
জীবনের সুখ খুঁজে ফিরে,
লিখতে গিয়ে তাকে নিয়ে
ঢুকি তার মনের গভীরে।

যে মানুষ যৌবন শেষে
একাকি অতীতে করে বাস,
আমি যেন তার হয়ে ফেলি
জমে থাকা দীর্ঘশ্বাস। 

যে শিশুর উৎসুক চোখ
বিস্ময়ে হয় বড় বড়,
আমি তার সব মুগ্ধতা 
কবিতায় করে রাখি জড়ো।

আমার নিজস্বতা কি
লেখা পড়ে ভাবছ কি তাই?
আমি হই তোমাদেরই রূপ,
আমার নিজস্বতা নাই।