Monday, April 21, 2014

লাল তরমুজ, নীল আতংক

ফটিক নামে গ্রামের এক
দাদা তরমুজ,
বাংগি ইত্যাদি বিক্রি করত।
তো একদিন মা তার কাছ
থেকে একটা তরমুজ কিনলো।
কেনার সময় সে বার বার
নিশ্চয়তা দিয়ে বলল
যে তরমুজের ভিতরটা বেশ লাল
হবে আর খেতেও খুব
মিষ্টি হবে। কিন্তু
কেটে দেখা গেল তরমুজটির
চেহারা - সুরত হতাশা জনক।
খেতে পানসে।
পরের দিন
রাস্তা থেকে ডেকে এনে
মা তাকে মিথ্যা বলার জন্য
ঝাড়ি দেয়া শুরু করল।
মাকে মাঝপথে থামিয়ে সে গলায়
সবটুকু শক্তি জড় করে বলল, "
আমি কি তরমুজের
ভিতরে গেসি? "
কিন্তু বর্তমান তরমুজ
ব্যবসায়ীরা তরমুজের
ভিতরে যেতে পারেন। কেনার
আগে কনফিডেন্টলি লাল
হওয়ার গ্যারান্টি দেন
এবং ক্রেতার
সামনে কেটে লাল হওয়ার
প্রমান দিয়ে দেন। এ
সিজনে যতগুলো তরমুজ
কিনলাম, সবগুলোই গ্যারান্টেড
লাল ছিল।তবে লাল
হলে যে মিষ্টি স্বাদ আসার
কথা, তা ছিল না। অনেক
আগেই প্রশ্ন জেগেছিল, এত
লালের নিশ্চয়তা তারা দেয়
কিভাবে? কুষ্টিয়ায় তরমুজ
খেয়ে ভাই -বোনের মৃত্যুর পর
এখন
আমরা গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি তরমুজে অবশ্যই
রঞ্জক কেমিকেল ব্যবহার
করা হচ্ছে।আসা করি বি এস
টি আই বা অন্যকোন সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত
করে অপরাধীদের আইনের
আওতায় আনতে ব্যর্থ হবে(!)।
তবে আমি ফটিক দাদার
মত কোন
তরমুজওয়ালা না পেলে এ
জীবনে আর তরমুজই খাব না।

0 comments:

Post a Comment