Tuesday, July 28, 2020

আমার যা নেই

আমার যা নেই,
তা নিয়েই তোমাদের গর্ব;
তোমাদের প্রাপ্তিতে আমার
প্রাপ্তির অধিকার খর্ব?
ধার করা প্রাপ্তির সুখ চাই,
বাস করি বোকাদের স্বর্গে।
জীবনের প্রকৃত সুখ সব
হিমায়িত হয়ে থাকে মর্গে।
সুখ খুঁজে ভুগি আমি অসুখে,
বোকা ঘুঘু চিনি নাতো ফাঁদ।
কোকিলেরা নিয়ে যায় ছানা সব,
অর্জন হয় বরবাদ।

Wednesday, July 15, 2020

সাহেদনামা

এত পাপ করে তবু অধরা কি থাকা যায়?
চেহারায় আর কত সরলতা আঁকা যায়?
শাক দিয়ে কত দিন মাছ ঢেকে রাখা যায়?

সাহেদরা প্রতারণা করতেই ঢাকা যায়।
মিঠা মিঠা বুলিগুলো পুরাটাই ফাঁকা যায়।
অসহায় মানুষের গাঁট থেকে টাকা যায়।

সোজা পথ ছেড়ে যারা চিরদিন বাঁকা যায়,
তাহাদের মুখে আজ চুন-কালি মাখা যায়।


Saturday, July 11, 2020

রাক্ষসের ভোজন

নাটিকাঃ রাক্ষসের ভোজন
চরিত্রঃ ১। ইন্সপেক্টর পলক (রাক্ষস রাজের জনৈক পুলিশ ইন্সপেক্টর 
২। স্যার ( রাক্ষস রাজের জনৈক সিনিয়র পুলিশ অফিসার।
(তাতক্ষনিক রোল প্লে। ভিডিও দেখে স্ক্রিপ্ট লেখা। শেষ পর্যন্ত না দেখলে মজা মিস)

স্যারঃ ইন্সপেক্টর পলক।
ইন্সপেক্টর পলকঃ ইয়েস, স্যার।
স্যারঃ একটা মানুষের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে! 'হাউলো, মাউলো, খাউলো' দোয়াটা পড় তো।
ইন্সপেক্টর পলকঃ হাউলো, মাউলো, খাউলো- মানুষের গন্ধ পাই।
স্যারঃ ( ভুল ধরিয়ে দিয়ে) পাউলো।
পলকঃ পাউলো।
স্যারঃ ঐ মানুষটাকে কি খাওয়া যাবে এখন?
পলকঃ কোন মানুষ?
স্যারঃ ঐ যে ছাদে!
পলকঃ ওটাতো খাড়া মানুষ!
স্যারঃ হ্যা, দেখ তো মোটা না চিকন মানুষটা। মোটাতে অনেক মাংস হবে আর চিকন হলে খাওয়া যাবে না গো!
পলকঃ এরকম! (বাঁকা দেখিয়ে)
স্যারঃ এরকম?
পলকঃ হ্যা।
স্যারঃ তা যাও, নিয়ে আস ধরে।
পলকঃ না, ঐ হল একটা চোর।
স্যারঃ চোর বদমায়েশ খেয়ে বাংলাদেশ আগে পরিষ্কার করতে হবে।
পলকঃ চিকনটা আছে।
স্যারঃ চোরটাকে ধর। বাংলাদেশ চোরমুক্ত করতে হবে। তখন প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে বেশি বেশি চোর খেতে দিবেন। চোর খেলে, বাংলাদেশ চোরমুক্ত হলে দেশের অনেক মঙল হবে।
পলকঃ এই একটা ধরলাম।
স্যারঃ হ্যা, এই চোরটাকে আমি খাই। ঐ যে রিজেন্টের শাহেদ নামে আরেকটা চোর আছে। ওটাকে খেতে পারলে ভালো হত। ওটাকে ধরে নিয়ে আসো তো। খোঁজ আর ' হাউলো, মাউলো' দোয়াটা পড়ো।
পলকঃ আপনি ওখানে দাঁড়িয়ে থাকেন। আমি দেখি।
স্যারঃ হাউলো মাউলো দোয়াটা পড়। হাউলো মাউলো খাউলো-
পলকঃ হাউলো মাউলো খাউলো
স্যারঃ মানুষের গন্ধ পাউলো।
পলকঃ মানুষের গন্ধ পাউলো।
স্যারঃ দেখতো রিজেন্ট হাসপাতালের শাহেদকে পাও কিনা। ওটাকে খেতে মজা হবে অনেক।
পলকঃ ঐ তো!
স্যারঃ হ্যা, ধর। মোটাকরে, মোটা করে মানুষটা। ধরে নিয়ে আস।আমি খাব। তোমাকেও দেব একটু।
পলকঃ এই ধরে আনলাম।
স্যারঃ হ্যা, তুমি কিছু খাও। মাথাটা খাও। মাথা ভরা মগজ আর মানুষের-
পলকঃ আমি মাথা নিলাম, আপনি পা নেন।
স্যারঃ হ্যা, মাথাভরা সকল কুবুদ্ধি, প্রতারণা। মাথাটাকে চিবিয়ে চিবিয়ে খাওয়ার সময় দেখতো মগজে কী ছিল।
পলকঃ হ্যা, আপনি পা নেন, ছিড়ে দিলাম পা।
স্যারঃ এই চোরগুলা, চোর, প্রতারকগুলা বেশি টেস্টি, না?
পলকঃ হ্যা।
স্যারঃ ভদ্র মানুষগুলা খাওয়া যায় না, টেস্ট নেই। চোরগুলা খেতে খুব টেস্টি। এখন আমরা মানুষ খাব না একমাস। তবে চোর পেলে যখন তখন খাব। তাই না? চল, চলে যাই আমাদের ডেরায়। ওদিকে আবার সবাই ওয়েট করছে। চল।
পলকঃ একটু দাঁড়ান। (কিছুক্ষন বাতাস শুঁকে) একটা মানুষের গন্ধ পাচ্ছি।
স্যারঃ এখন আর কোন মানুষ খাব না। শাহেদকে খেয়েছি। এই বজ্জাত মানুষটাকে খেয়ে অনেকদিন থাকা যাবে। চলো।

Wednesday, July 8, 2020

বাহ! বানান!

'গরু' যদি 'গোরু' হয়
'তরু' হবে 'তোরু'
সরু পথ হয়ে যাবে
আরও বেশি 'সোরু'।
'গতি' তবে 'গোতি' হবে,
'ক্ষতি' হবে 'ক্ষোতি'
নেই কাজ তাই বলে
এই ভীমরতি! 
'কচি' যদি 'কোচি' হয়,
'মন' হবে 'মোন';
মাথা হবে এলোমেলো, 
হ্যাং হবে ফোন।
'ঈদ' গেল, 'ইদ' এলো,
বানানের চাপে
নামীদামী কলমও
আংগুলে কাঁপে।