Thursday, April 29, 2021

আয় ঝড় আয়

চারদিকে প্রচন্ড তাপদাহ। আমাদের সামাজিক জীবনও কেমন যেন উত্তপ্ত।  একটা ঝড় আসুক।
প্রাকৃতিক ঝড় এবং ইতিবাচক পরিবর্তন  অর্থে সামাজিক ঝড়। নিচের ছড়ায় এই দুই প্রকারের ঝড়ই মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।  ছড়াটি ঝড়ের ছন্দে অর্থাৎ দ্রুত তালে পড়তে হবে। 

আয় ঝড় আয়
দিয়ে যা আমায়
পাগলাটে  বৃষ্টির ঝাপটা।
আয় ঝড় আয়
খোদার দোহায়
হিম কর বাতাসের তাপটা। 

আয় ঝড় আয় 
মাটির মায়ায়
মেটা তার বুকফাটা তেষ্টা। 
আয় ঝড় আয়
তুই অতিকায়
প্রকৃতির বুনো উপদেষ্টা। 

আয় ঝড় আয়
সবুজ পাতায়
দিয়ে যা  জীবনের ছন্দ।
আয় ঝড় আয়
তোর মহিমায়
দূর হোক সমাজের গন্ধ। 

আয় ঝড় আয়
বেলা বয়ে যায়
ধুয়ে দে পরাণের ক্লান্তি।
আয় ঝড় আয়
এক ঝাপটায়
উড়ে যাক জমা সব ভ্রান্তি। 

আয় ঝড় আয়
মোরা অসহায়
দানবের  তরে  শুধু ভক্তি।
আয় ঝড় আয়
দেখা বসুধায়
তোর চেয়ে কার বেশি শক্তি।

Wednesday, April 28, 2021

লোভ বনাম লালসা

আমার ব্যক্তিগত ধারণা বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনবীর একজন প্রেম প্রতারক। কিন্তু মোসারাত জাহান মুনিরা কি শুধুই লোভী? নাকি তার অপরিণত নিউরনে ভালোবাসারও  অনুরণন ঘটেছিল? ঘটনা যাই হোক, আমার ছাত্রীদের বয়সী একটা মেয়ের এই করুন পরিণতি অবশ্যই খারাপ লাগার। আমার নিচের কবিতার সব Assertive sentence হয়ে গেছে Interrogative sentence! কারন আসলে আমি প্রকৃত সত্যের কিছুই জানি না।

মেয়েটি কি মজেছিল লোভ মেশা প্রেমে?
লোকটি কি মেতেছিল মন ভাঙা গেমে?
দু' জনার বহু ছবি ছিল একই ফ্রেমে;
প্রেম-ভালোবাসা তবু গেল কেন থেমে? 

লোভ আর লালসার হয়েছিল মিল?
জীবনের দামে তাই দিতে হল বিল?
মেয়েটি কি ধীরে ধীরে খুলেছিল দিল?
লোকটি তা বুঝে গিয়ে এঁটে দিল খিল? 

দেহটা কি বৈভবে মেনে ছিল হার?
মনের স্বাধীনতা ছিল মেয়েটার?
সব ছিল, ছিল না তো শুধু অধিকার?
মরনে দ্রোহী মন  হল নির্ভার? 

জীবন নিয়ে কেন খেলা ছিনিমিনি? 
মন না কিনে শুধু দেহ কেন কিনি?
জীবন হলে গত পাপ কেন চিনি?
মরনের কাছে ন্যায় হয় কেন ঋণী?

Sunday, April 25, 2021

ইদ বনাম করোনা

তোমরা যারা করছ নিষেধ, একটু থেমে ভাব
এই ইদটা সারা জীবনে আর কি ফিরে পাব?
এক বছরে বারোটি মাস, দুই খানা ইদ মোটে-
সেই ইদেও নতুন কাপড় আর যদি না জোটে
আনন্দ সব হবে মাটি, রঙ হারাবে ইদ।
সেই দুঃখে এক সপ্তাহ আসবে না আর নিদ।
দোহায় তোমার দোকান খোল, করব কেনাকাটা।
করোনার গুষ্টি কিলাই, মুখে মারি ঝাটা।

Sunday, April 18, 2021

ঘৃণার থুতু

না সারা কফের মত তীব্র ঘৃণার দলা
বুকে জমে জমে অস্থিরতা বাড়ায়;
তারপর একরাশ শক্তি সঞ্চার করে
সে ঘৃণার সামান্য অংশ থুতু আকারে
ফেলতে পারি আরেক জনের মুখে।
পরক্ষনেই দেখি আমার মুখও
বরণ করেছে একদলা ঘৃণার থুতু।
এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে স্বদেশ আমার-
ঘৃণা, হিংসা আর জিঘাংসায়।

Tuesday, April 6, 2021

মাওলানা নিয়ে মতামত

ফেসবুক খুললেই মাওলানা মুঃ মামুনুল হক বিতর্ক ।পক্ষে -বিপক্ষে নানা স্ট্যাটাস,স্ক্রিনশট, ভিডিও, ফাঁস হওয়া ফোনালাপ। তাই আমি ঠিক করেছি এ প্রসঙ্গে আমিও কিছু বলব। নিশ্চুপ নিরপেক্ষতা আর ধরে রাখতে পারলাম না। আমার মূল্যবান মন্তব্য জাতির শোনা দরকার আছে। তাই মৌনতা ভেঙে এ প্রসঙ্গে লিখতে বসলাম। আমি যেটা সঠিক মনে করব বা যেটা আমার কাছে যুক্তির বিচারে ন্যায় মনে হবে, সেটাই বলব। তাই আপনি যে দলেরই হন না কেন, যে আদর্শের অনুসারী হন না কেন, আমার তাতে কিছু যায় আসে না। আমার কথা আপনার বিপক্ষে গেলে আপনি আশাহত হতে পারেন। আবার পক্ষে গেলে পুলক অনুভব করতে পারেন। আমি আসলে আপনার আদর্শের বিচারে আমার কথা সাজাব না। আমি তাই বলব যা আমার বিবেক আমাকে বলতে বলবে। আমি তাই বলব যা আমার চিন্তাশীল মনের গভীর থেকে বের হয়ে আসবে। তাই আপনারা নিজ দায়িত্বে আমার কথার ব্যাখ্যা - বিশ্লেষণ করবেন।

এখন মূল বক্তব্যে আসা যাক। দয়া করে মনোযোগ সহকারে মাওলানা মামুনুল হক বিষয়ে আমার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য পড়ুন। যারা টয়লেটে বসে আমার লেখাটি পড়ছেন, তারা দয়া করে আগে প্রাকৃতিক কাজটি শেষ করুন। এত গুরুত্বপূর্ণ লেখাটি টয়লেটে বসে পড়া ঠিক না। তাতে আমার লেখার ভাবগাম্ভীর্যকে চরম অপমান করা হবে। আর অনুগ্রহ করে যাদের বাড়িতে বাচ্চাকাচ্চা কান্নাকাটি করছে তারা এই ভ্যা ভ্যা না থামিয়ে স্ট্যাটাসটি পড়বেন না। কেননা অন্যদিকে মনোযোগ থাকলে আপনি আমার গুরুত্বপূর্ণ কথার ভুল ব্যাখ্যা করবেন। সেই ব্যাখ্যাটি স্ট্যাটাস আকারে ভাইরাল হলে দাঙ্গা - হাঙ্গামা বেঁধে যেতে পারে। তাই সবচেয়ে ভালো হয় একা একা দরজা বন্ধ করে দিয়ে, এক-দুই মিনিট চোখ বন্ধ রেখে সম্পূর্ণ মনোযোগকে এককেন্দ্রিক করে আমার স্ট্যাটাসটি পড়ুন। আর চোখে যাদের পাওয়ারের সমস্যা আছে, তারা অবশ্যই
চশমা পরে নিবেন। না হলে অক্ষর ওলট-পালট হয়ে গিয়ে আমার গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যটি ভুলভাবে আপনার স্ক্রিনে ধরা দিবে।

আমি আসলে প্রসংগ থেকে একটু দূরে সরে গিয়েছি। আর কথা না বাড়িয়ে সরাসরি মামুনুল হক বিষয়ে কথা বলাই ভালো হবে। আপনারা অত্যন্ত ধৈর্য ধারণ করে মূল কথাটি জানার জন্য এই পর্যন্ত পাঠ করেছেন। তাই আপনাদেরকে হতাশ করে আর কথা বাড়াবো না। শুধু মাওলানা সাহেবকে নিয়েই বলব। তবে একটি কথা না জানালেই নয়৷ বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমার এই বদ অভ্যাসটিও বেড়ে গেছে। একটি বিষয়ে বলতে যেয়ে বিভিন্ন প্রসঙ্গে চলে যাই। আপনাদের অনেকেরই হয়ত এ অভ্যাসটি আছে। যাহোক, আমার এ বদভ্যাসটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে কৃতার্থ হব।

হ্যাঁ, এই বার আর বৃথা বকবকানি নয়। এইবার সাম্প্রতিক সময়ের হট টপিক মাওলানা মামুনুল হকের নারায়ণগঞ্জ রিসোর্টের ঘটনার নানা দিক নিয়ে এখন আলোচনা করব। তবে এই মূহুর্তে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। রাত দশটায় আমার একটা জরুরি ফোন আসবে। এদিকে মোবাইলের চার্জ কেরোসিনহীন চেরাগের মত নিভু নিভু করছে। তাই বলছি, আমার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যটি অন্য একটি স্ট্যাটাসে বিস্তারিত তুলে ধরব। এবারের মত মাফ করবেন।

Friday, April 2, 2021

হাওয়াই মিঠাই

এক যে ছিল হাওয়াই মিঠাই
'স্বাস্থ্য বিধি' নাম;
শুনতে শোনায় খুবই ভালো,
বাস্তবে নাই কাম।
এক যে ছিল কাজির গরু
'স্বাস্থ্য বিধি' নাম;
গোয়ালে সে না থাকিলেও
লক্ষ টাকা দাম।
এক যে ছিল মরীচিকা 
'স্বাস্থ্য বিধি' নাম;
বাস্তবে তার রূপ দেখিতে
ঝরছে বৃথা ঘাম।

গোকুলে বাড়িছে সে

(একটা গান লিখলাম। এখন সমস্যা হল লিখতে পারি, কিন্তু গাইতে পারি না। Mahanam Brata Deep,  Will you try?)
তোমারে বধিবে যে, গোকুলে বাড়িছে সে-
একথা বুঝেও কেন বোঝ না।
না বুঝিয়া হালচাল 
কুমির  আনতে কাট খাল;
মতিগতি বোঝা তোমার দায়।
ও বন্ধু, বুঝবে যেদিন থাকবে না উপায়।
ও বন্ধু, সেদিন তুমি হবে অসহায়।
ও বন্ধু, বুঝবে যেদিন থাকবে না উপায়।। 

তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে-
একথা বুঝেও কেন বোঝ না।
কাছের মানুষ দূরে রাখ,
দূরের মানুষ কাছে ডাক।
বিবেক তোমার কোন পথে যে যায়!
ও বন্ধু, বুঝবে যেদিন থাকবে না উপায়।
ও বন্ধু, সেদিন তুমি হবে  অসহায়।
ও বন্ধু, বুঝবে যেদিন থাকবে না উপায়।। 

তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে-
একথা বুঝেও কেন বোঝ না।
আল বোরহান ভাবিয়া কয়
যা দেখ সব সত্য নয়।
চোখের ছানি মারিবে তোমায়।
ও বন্ধু, বুঝবে যেদিন থাকবে না উপায়।
ও বন্ধু, সেদিন তুমি হবে  অসহায়।
ও বন্ধু, বুঝবে যেদিন থাকবে না উপায়।।